• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১
logo
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও ৪ প্রসিকিউটর নিয়োগ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আরও চারজনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তাদের মধ্যে একজনকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদা, দুইজনকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদা ও একজনকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) চারজনকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রসিকিউটররা হলেন, মো. আব্দুস সোবহান তরফদার (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার), শহিদুল ইসলাম সরদার ও ফারুক আহমেদ (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার) ও হাসানুল বান্না (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার)। গত ৫ সেপ্টেম্বর চিফ প্রসিকিউটরসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চারজন প্রসিকিউটর নিয়োগ করা হয়। চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, যিনি একই ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের আইনজীবী ছিলেন। পরে আরও কয়েকজনকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে। উল্লেখ্য, গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য। সেই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিচার হয়েছে। এবার সেই ট্রাইব্যুনালেই বিচার হচ্ছে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের। যার জন্য অভিযুক্ত শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের বিচারের লক্ষ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়েছে।  আরটিভি/একে
০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:০২

রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য ‌মর্যাদায় বাংলাদেশ দূতাবাস রোমের উদ্যোগে “আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং “জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪” পালিত হয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।  “আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং “জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪” উপলক্ষে দূতাবাসে আয়েজিত অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণীসমূহ পাঠ করা হয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় হতে প্রেরিত ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইতালিতে বাংলাদেশিদের অভিবাসন বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন অংশগ্রহণকারীদের সামনে উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে আমন্ত্রিত ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ইতালি প্রবাসীদের মধ্য হতে মানি এক্সচেঞ্জের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ, প্রবাসীদের ইমিগ্রেশন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা, ব্যবসায়ী, চাকরীজীবি, বিশিস্ট ব্যক্তিবর্গ ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রবাসীদের অধিকার এবং দূতাবাসের সেবা কার্যক্রম বিষয়ে তাদের পরামর্শ এবং প্রত্যাশা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক তার বক্তব্যে বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণে ইতালিতে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন প্রবাসীদের সেবা নিশ্চিতকরণে দূতাবাস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রবাসীদের অধিকার, মর্যাদা এবং কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে দূতাবাস হতে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ এবং বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগ ও পরিকল্পনাসমূহ তিনি তুলে ধরেন।  “আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং “জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪” উদযাপনের অংশ হিসেবে দূতাবাসে আগত প্রায় চারশতাধিক কনস্যুলার সেবাপ্রার্থী প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে উন্নত সেবা এবং আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় হতে প্রেরিত ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস হতে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ সেবা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আরটিভি/এফআই
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:১৯

সিনেমার পর এবার ওয়েবে মুন্না
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ সিনেমার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় মুন্না খানের। একই নির্মাতার পরিচালনায় আরেকটি সিনেমা 'রুখশার' ৭৫% শেষ হয়েছে। বর্তমানে সেই নায়কের প্রযোজনা সংস্থা থেকে নির্মিতব্য সিনেমা বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘তছনছ’। এবার সেই ব্যানারেই নির্মিত হয়েছে নতুন ওয়েব ফিল্ম ‘দি পাওয়ার অফ লাভ’। এর মাধ্যমে প্রথমবার ওয়েবের দুনিয়ায় নাম লেখাতে যাচ্ছেন মুন্না খান। মাহফুজ রহমান রাজ রচিত এবং পরিচালিত ওয়েব ফিল্মটি শিগগিরই মুক্তি পাবে।  ওয়েব ফিল্ম প্রসঙ্গে মুন্না বলেন, ভালোবাসার গল্পে এটি নির্মিত হয়েছে। অ্যাকশন ঘরনার ওয়েব ফিল্ম। আশা করছি, সব শ্রেণির দর্শকদের ওয়েব ফিল্মটি ভালো লাগবে। এই ওয়েব ফিল্মে মুন্না ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বড়দা মিঠু, পায়েল সুলতানা, মেহেদি হাসান, ইব্রাহীম আহমেদ, মিশকাত মাহমুদ, আব্দুর রাজ্জাক, ইমরান খান, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। আরটিভি/এএ/এআর
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:২৯

এ সমাজে পুরুষ কোথায়?
আমাদের জীবনটাই হয়ে গেছে দিবসময়। আজ এই দিবস তো কাল সেই দিবস। এরই মাঝে আজ চলে এসেছে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে এত দিবস পালনের পক্ষে নই। কিন্তু আজ লিখতে হচ্ছে। গতকাল রাত থেকেই ইনবক্সে অনেকেই লিখেছেন, নারী দিবসে তো আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই কিন্তু পুরুষ দিবসে কেন আমাদের শুভেচ্চা জানাবেন না? এত এত মেসেজ দেখে কিছুটা বিরক্ত হলেও অবাক হইনি।  একজন অভিনেত্রী হিসাবে সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। তারা আমার কাছ থেকে শুভেচ্ছা চেয়েছেন। আমি অবশ্যই নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে পৃথিবীর সব পুরুষকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ সমাজে পুরুষ কোথায়? এ প্রশ্নটাও তুলে রাখলাম।  কেননা আমার কাছে পুরুষ মানে পিতা, পুরুষ মানে স্বামী, পুরুষ মানে ভাই-বন্ধু-স্বজন। কিন্তু আজকের একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি, এ সমাজে পুরুষ (মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন) কোথায়? তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য।  এত বসন্ত পার করেও জীবনে চলার পথে পুরুষ দেখেছি, কিন্তু মানবিক মূল্যবোধে পরিপূর্ণ, নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল পুরুষ তেমনভাবে দেখিনি। আজকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে আমার প্রত্যাশা থাকবে, পৃথিবীর সব নারীর প্রতি পুরুষের সহনশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ থাকুক। তাহলেই এই সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে যে দূরত্ব তা সরে যাবে। একটি সমতাভিত্তিক সমাজের প্রত্যাশায় যেখানে নারী-পুরুষ সমধিকার নিয়ে চলতে পারবে।  উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর তারিখে পালিত হয়। সারা বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গ ভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়ে থাকে। পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯৪ সালে। তবে ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে। এই দিনটি পালন করা হতো মূলত পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ২০০২ সালে দিবসটির নামকরণ করা হয় ‘ডিফেন্ডার অফ দ্য ফাদারল্যান্ড ডে’। রাশিয়া, ইউক্রেনসহ তখনকার সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এই দিবসটি পালন করা হতো। বলা যায়, নারী দিবসের অনুরূপভাবেই দিবসটি পালিত হয়। ষাটের দশক থেকেই পুরুষ দিবস পালনের জন্য লেখালেখি চলছে। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস নিজের লেখায় এ দিবসটি পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। নব্বই দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দিবস পালনের জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যদিও অনুষ্ঠানগুলো খুব একটা প্রচার পায়নি। অংশগ্রহণও ছিল কম। পরবর্তী সময়ে ১৯ নভেম্বর পুরো বিশ্বে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিশেষে বলতে চাই, আমার সোনার বাংলাদেশে সোনার পুরুষ হোক। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন পুরুষ থাকুক। নারীর প্রতি বিদ্বেষ, হিংসা না ছড়িয়ে নিজের পরিবারে যে নারী আছে, তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। তাহলেই এ সমাজে কোনো নারী পুরুষের লালসার শিকার হবে না। সমাজে শান্তি ফিরে আসবে। পুরুষের শক্তি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধেই নিহিত। জয় হোক সকলের। শুভ কামনা মানবিকবোধ সম্পন্ন পুরুষদের জন্য। লেখক: অভিনয়শিল্পী   আরটিভি/ডিসিএনই  
১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৫

এ সমাজে পুরুষ কোথায়?
আমাদের জীবনটাই হয়ে গেছে দিবসময়। আজ এই দিবস তো কাল সেই দিবস। এরই মাঝে আজ চলে এসেছে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে এত দিবস পালনের পক্ষে নই। কিন্তু আজ লিখতে হচ্ছে। গতকাল রাত থেকেই ইনবক্সে অনেকেই লিখেছেন, নারী দিবসে তো আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই কিন্তু পুরুষ দিবসে কেন আমাদের শুভেচ্চা জানাবেন না? এত এত মেসেজ দেখে কিছুটা বিরক্ত হলেও অবাক হইনি।  একজন অভিনেত্রী হিসাবে সমাজের নানা শ্রেণীপেশার মানুষের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। তারা আমার কাছ থেকে শুভেচ্ছা চেয়েছেন। আমি অবশ্যই নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে পৃথিবীর সকল পুরুষকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ সমাজে পুরুষ কোথায়? এ প্রশ্নটাও তুলে রাখলাম।  কেননা আমার কাছে পুরুষ মানে পিতা, পুরুষ মানে স্বামী, পুরুষ মানে ভাই-বন্ধু-স্বজন। কিন্তু আজকের একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি, এ সমাজে পুরুষ (মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন) কোথায়? তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য।  এত বসন্ত পার করেও জীবনে চলার পথে পুরুষ দেখেছি, কিন্তু মানবিক মূল্যবোধে পরিপূর্ণ, নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল পুরুষ তেমনভাবে দেখি নাই। আজকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে আমার প্রত্যাশা থাকবে, পৃথিবীর সকল নারীর প্রতি পুরুষের সহনশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ থাকুক। তাহলেই এই সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে যে দূরত্ব তা সরে যাবে। একটি সমতাভিত্তিক সমাজের প্রত্যাশায় যেখানে নারী-পুরুষ সমধিকার নিয়ে চলতে পারবে।  উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর তারিখে পালিত হয়। সারা বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গ ভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়ে থাকে। পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯৪ সালে। তবে ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে। এই দিনটি পালন করা হতো মূলত পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ২০০২ সালে দিবসটির নামকরণ করা হয় ‘ডিফেন্ডার অফ দ্য ফাদারল্যান্ড ডে’। রাশিয়া, ইউক্রেনসহ তখনকার সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এই দিবসটি পালন করা হতো। বলা যায়, নারী দিবসের অনুরূপভাবেই দিবসটি পালিত হয়। ষাটের দশক থেকেই পুরুষ দিবস পালনের জন্য লেখালেখি চলছে। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস নিজের লেখায় এ দিবসটি পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। নব্বই দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দিবস পালনের জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যদিও অনুষ্ঠানগুলো খুব একটা প্রচার পায়নি। অংশগ্রহণও ছিল কম। পরবর্তী সময়ে ১৯ নভেম্বর পুরো বিশ্বে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিশেষে বলতে চাই, আমার সোনার বাংলাদেশে সোনার পুরুষ হোক। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন পুরুষ থাকুক। নারীর প্রতি বিদ্বেষ, হিংসা না ছড়িয়ে নিজের পরিবারে যে নারী আছে, তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। তাহলেই এ সমাজে কোনো নারী পুরুষের লালসার শিকার হবে না। সমাজে শান্তি ফিরে আসবে। পুরুষের শক্তি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধেই নিহিত। জয় হোক সকলের। শুভ কামনা মানবিকবোধ সম্পন্ন পুরুষদের জন্য। লেখক: অভিনয়শিল্পী
১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:২৪

১৪ হেভিওয়েট আসামিকে ট্রাইব্যুনালে তোলা হচ্ছে সোমবার
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জন হেভিওয়েট আসামিকে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।  রোববার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।  তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে। বর্তমানে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তারা সবাই কারাগারে রয়েছেন।  জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় যাদের ট্রাইব্যুনালে তোলা হচ্ছে, তারা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক এলাহি, আ. রাজ্জাক, শাহজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। এর আগে, গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল তাদের হাজির করার আদেশ দেন।  প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। আরটিভি/আইএম-টি
১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৮

র‌্যাব-পুলিশসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাতজন নেতাকর্মী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে ভুক্তভোগীরা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগে পৃথকভাবে এ অভিযোগ দায়ের করেন।  ভুক্তভোগীরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম করার পর গুলি করে বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের হাত-পা কেটে ফেলা হয়েছে। গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।  এসব ঘটনায় পুলিশ, র‍্যাব ও আওয়ামী লীগের যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারেরও দাবি করেন তারা। এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান গণমাধ্যমকে বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এখনও যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনারও দাবি জানিয়েছি। তিনি আরও বলেন, যে সাতজন অভিযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে দুজন গুম থেকে ফিরেছেন, একজন এখনও নিখোঁজ আর বাকি চারজনকে নির্যাতনের মাধ্যমে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।  এর আগে, গুম ও নির্যাতন ইস্যুতে সবশেষ গত ৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগে করেন যশোর ও জয়পুরহাটের ৪ ছাত্র শিবির নেতা। এ ছাড়া গত ২১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে শিবিরের ৬ নেতাকর্মীও অভিযোগ দাখিল করেন।  আরটিভি/আইএম/এআর
১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৩১

আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলনে ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
আজ থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন। এতে ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশ নেবেন। উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।  শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে পেয়ে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। জিল্লুর রহমান আরও বলেন, সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) গত দুই বছর ধরে বার্ষিক বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের আয়োজন করে আসছে। বিগত বছরগুলোতে এ সম্মেলন আয়োজন করতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা বাধা দেওয়া হয়েছিল। তবে এ বছর আমরা অনেক সহযোগিতা পাচ্ছি। এটি আমাদের তৃতীয় বছর এবং আমাদের সবচেয়ে বড় আয়োজন করতে যাচ্ছি। সিজিএসের এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি আমাদের জন্য সংলাপ ও সহযোগিতার জন্য নতুন পথ উন্মুক্ত করাসহ, গণতান্ত্রিক নীতি নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার বড় ধরনের সুযোগ তৈরি করেছে। এই সম্মেলনে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, সীমান্ত পেরিয়ে সব চ্যালেঞ্জগুলো অন্বেষণ করা হবে। তিনি বলেন আমরা বিশ্বাস করি, এ অঞ্চলের দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষভাবে এ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কূটনৈতিকভাবে লাভবান হবে। রাজনৈতিক, মানবাধিকার, অপতথ্য, গুজবসহ সব বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই। এ সময় সিজিএসের চেয়ার মুনিরা খান বলেন, এই সম্মেলন থেকে আমরা গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকারসহ বৈশ্বিক বিষয়ে জানতে চাই, কথা বলতে চাই। এই সম্মেলনের এজেন্ডা জনগণের জন্য, কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। সব ধরনের সমস্যা ও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে চাই। পৃথিবীব্যাপী জনগণ, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নির্বাচন, দারিদ্র্য নিয়ে কথা বলার জন্যই আমাদের এই সম্মেলন। প্রসঙ্গত, আজ থেকে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়ে চলবে আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’। আরটিভি/আইএম
১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২১

ট্রাইব্যুনালের মামলায় সাবেক আইজিপি মামুনের জবানবন্দি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে তিনি এ জবানবন্দি দেন। এটি ছিল জুলাই-আগস্টের গণহত্যা মামলায় প্রথমবারের মতো কোনো সরকারি কর্মকর্তার জবানবন্দি। গত ৩০ অক্টোবর গণমাধ্যমে খবর আসে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন গণহত্যার মামলায় রাজসাক্ষী হতে পারেন। ওই সময় কারাসূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গণহত্যার ঘটনায় পুলিশকে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং এর সঙ্গে তার কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের পরবর্তী নির্দেশনার ওপর নির্ভর করবে। এমনকি তিনি রাজসাক্ষী না হলেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছিল। গত ৩ সেপ্টেম্বর উত্তরা থেকে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একাধিক থানার ১৭টি মামলায় অভিযুক্ত। মামুনকে কয়েক দফায় ৬৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। আরটিভি/এফএ/এআর
০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৩

ট্রাইব্যুনালে ১২ মামলা করবে গণঅধিকার পরিষদ
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় সারাদেশে নিজেদের ১২ জন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৃথক ১২টি মামলা দায়ের করবে গণঅধিকার পরিষদ। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ তথ্য জানান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।  তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে গণঅধিকার পরিষদের ১২ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউরের পরামর্শ অনুযায়ী পৃথক ১২টি মামলা দায়ের করা হবে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগ আনা হবে।  গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা আরও বলেন, আমাদের দলের আইনজীবীরা এরই মধ্যে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি শুরু করেছে।  এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট নূরে এরশাদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়